একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি অনলাইন আবেদন নিয়ম ২০২৫ । Xi class Admission Apply 2025

class-xi-admission-circular-2025

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি অনলাইন আবেদন নিয়ম ২০২৫: সম্পূর্ণ নির্দেশিকা

প্রতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (SSC) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার প্রথম ধাপ হিসেবে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। এই প্রক্রিয়াটি এখন সম্পূর্ণ অনলাইন-ভিত্তিক, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সহজ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি নিশ্চিত করে। এই ডিজিটাল রূপান্তর ভর্তি সংক্রান্ত জটিলতা হ্রাস এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী সঠিক কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া, একই সাথে ভর্তি প্রক্রিয়ায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম বা হয়রানি দূর করা। একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু ৩০ জুলাই, ফি ২২০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে। এ ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি অনলাইন আবেদন নিয়ম ২০২৫
class-xi-admission-circular-all-details

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুল কুদদুস।

একনজরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ:

একনজরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ:
একনজরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ:

আবেদন ও ফল প্রকাশের সময়সূচি:

  • প্রথম ধাপ: ৩০ জুলাই – ১১ আগস্ট আবেদন গ্রহণ। ১২ আগস্ট যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি। ১৩-১৪ আগস্ট খাতা চ্যালেঞ্জে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন। ১৫ মে কলেজ পছন্দক্রম পরিবর্তন। ২০ আগস্ট রাত ৮টায় ফল প্রকাশ। ২২ আগস্ট নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন।
  • দ্বিতীয় ধাপ: ২৮ আগস্ট প্রথম মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ। ২৯-৩০ আগস্ট নিশ্চায়ন।
  • তৃতীয় ধাপ: ৩১ আগস্ট – ১ সেপ্টেম্বর আবেদন। ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মাইগ্রেশন ও তৃতীয় ধাপের ফল। ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত নিশ্চায়ন। ৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত মাইগ্রেশন ফল।
  • ভর্তি ও ক্লাস শুরু: ৭-১৪ সেপ্টেম্বর ভর্তি প্রক্রিয়া। ১৫ সেপ্টেম্বর ক্লাস শুরু।

আবেদন ফি: ২২০ টাকা (গত বছর ১৫০ টাকা ছিল, বৃদ্ধি ৭০ টাকা)।

নির্বাচন প্রক্রিয়া: এসএসসি ফলের ভিত্তিতে মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রম অনুযায়ী কলেজ বরাদ্দ। কোনো পরীক্ষা বা লটারি নেই। নটর ডেম কলেজসহ কিছু প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি করবে।

পছন্দক্রম: সর্বনিম্ন ৫টি, সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে।

প্রক্রিয়া পরিচালনা: ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি সম্পন্ন হবে।

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি অনলাইন আবেদন নিয়ম ২০২৫

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য “একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা-২০২৫” এর একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে । যদিও এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে পূর্ববর্তী নীতিমালার (যেমন: ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য “নীতিমালা-২০২৪” যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে) আদলেই এর মূল বিষয়বস্তুগুলো থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নীতিমালার মূল লক্ষ্য হলো একটি সুসংগঠিত, স্বচ্ছ এবং মেধাভিত্তিক ভর্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দসই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পায় এবং কোনো ধরনের অনিয়ম বা হয়রানি ছাড়াই ভর্তি সম্পন্ন করতে পারে।

নীতিমালার নামকরণে একটি সম্ভাব্য বিভ্রান্তি দেখা যেতে পারে। ব্যবহারকারী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি জানতে চেয়েছেন। গবেষণা উপাত্তে দেখা যায়, বর্তমান শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২০২৫) নীতিমালাকে “নীতিমালা-২০২৪” বলা হচ্ছে । অন্যদিকে, ২০২৫ সালের আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য যে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে, তাকে “নীতিমালা-২০২৫” বলা হচ্ছে । নীতিমালার নামকরণ সাধারণত যে ক্যালেন্ডার বছরে নীতিমালাটি তৈরি বা প্রকাশিত হয়, সেই বছরটিকে নির্দেশ করে। তাই, ২০২৫ সালের আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য যে নীতিমালা, তা সম্ভবত “নীতিমালা-২০২৫” নামেই চূড়ান্ত হবে। এই নামকরণের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে “২০২৫” বলতে তারা কোন শিক্ষাবর্ষ বা নীতিমালার কথা ভাবছে। এই প্রতিবেদনে এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিক তথ্য খুঁজে পায় এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়।  

Xi class Admission Apply 2025

এই ভর্তি প্রক্রিয়ায় “অনলাইন ব্যতীত ম্যানুয়ালী কোন ভর্তি করা হবে না” এই কঠোর নীতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভর্তির জন্য  

xiclassadmission.gov.bd কে একমাত্র কেন্দ্রীয় পোর্টাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । এই কঠোর “অনলাইন-শুধুই” নীতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এবং ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একটি বড় পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ভর্তি বাণিজ্যের সুযোগ কমে আসে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ তৈরি হয়। এর বৃহত্তর প্রভাব হলো শিক্ষা প্রশাসনে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সাক্ষরতার দিকে উৎসাহিত করা। তবে, এর একটি সম্ভাব্য প্রভাব হলো ডিজিটাল বিভাজন তৈরি হওয়া, যেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বা প্রযুক্তিগত সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারে। এই দিকটি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রস্তুতি ও সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।  

ভর্তির নীতিমালা ও যোগ্যতা: যা জানা জরুরি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত “একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা-২০২৫” এর খসড়া অনুযায়ী, এটি আগামী ২১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে । মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই নীতিমালায় গতবারের তুলনায় খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়া এবং আবেদন শুরু হওয়া, শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সময় নাও দিতে পারে। এটি একটি সাধারণ প্রবণতা, যেখানে নীতিমালা প্রায়শই শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত নির্দেশনা পাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীদের এই সম্ভাব্য চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য আগে থেকেই গুছিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।  

আবেদনের সাধারণ যোগ্যতা হিসেবে, ২০২৩, ২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে । এটি নিশ্চিত করে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (BOU) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও এই অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে । উল্লেখ্য, BOU এর নিজস্ব উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (Higher Secondary Certificate) ভর্তি প্রক্রিয়াও রয়েছে যা ভিন্ন সময়সূচীতে চলে । আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।  

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য কোনো ধরনের ভর্তি পরীক্ষা বা লটারি অনুষ্ঠিত হবে না । এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যা ভর্তি প্রক্রিয়াকে সরল করে। শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবং তাদের অনলাইনে দেওয়া পছন্দক্রম অনুযায়ী কলেজ বরাদ্দ দেওয়া হবে । মেধা, পছন্দক্রম এবং কলেজে আসন প্রাপ্যতা – এই তিনটি বিষয়ই ভর্তির মূল নির্ণায়ক।  

বিশেষ কোটার ক্ষেত্রে, প্রচলিত মুক্তিযোদ্ধা কোটার পাশাপাশি এবার “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” কোটা যুক্ত হতে পারে । এটি খসড়া নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতিফলন। এই নতুন কোটার সংযোজন একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তন। এটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর অধিকার বা অবদানকে স্বীকৃতি দিতে প্রবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মেধা কোটায় আসন সংখ্যায় কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে, যা প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করতে পারে। ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কিছু স্বায়ত্তশাসিত বা বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারে । এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করতে হবে, কারণ তাদের ভর্তির নিয়মাবলী কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির বাইরে হতে পারে।  

অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া: ধাপে ধাপে নির্দেশিকা

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য সকল আবেদন শুধুমাত্র www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হবে । এটিই ভর্তির সার্কুলার, অনলাইন আবেদন ফর্ম, ফলাফল এবং ভর্তির নিশ্চায়ন সংক্রান্ত সকল তথ্যের কেন্দ্রীয় পোর্টাল । এই ওয়েবসাইটের হোমপেজটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার।  

 www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে
www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের

আবেদন শুরুর পূর্বে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। আবেদন করার পূর্বে শিক্ষার্থীর এসএসসি/সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত ও শিক্ষাগত তথ্য হাতের কাছে রাখতে হবে । একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের রঙিন ছবি (সাধারণত ৩০০x৩০০ পিক্সেল এবং ফাইল সাইজ ১০০ কেবির মধ্যে) প্রস্তুত রাখতে হবে । আবেদন ফি পরিশোধের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি), সোনালী সেবা বা সমর্থিত কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা রাখতে হবে।  

রেজিস্ট্রেশন ও লগইন পদ্ধতির জন্য, ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “আবেদন করুন” বা “Apply Now” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এসএসসি রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড এবং পাসের সাল ব্যবহার করে একটি আবেদন প্রোফাইল তৈরি করতে হবে । প্রথমবার আবেদনের সময় একটি অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে । প্রোফাইল তৈরির পর একটি পিন/পাসওয়ার্ড দেওয়া হতে পারে যা পরবর্তীতে লগইন করার জন্য প্রয়োজন হবে।  

আবেদন ফরম পূরণের সময় ব্যক্তিগত (যেমন: নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ) ও শিক্ষাগত তথ্য (যেমন: জিপিএ, প্রাপ্ত নম্বর) নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে । শিক্ষার্থীর ছবি আপলোড করতে হবে।  

কলেজ নির্বাচন ও পছন্দক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন ০৫ (পাঁচ) টি এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) টি কলেজে আবেদন করতে পারবে । কলেজ নির্বাচনের সময় প্রতিটি কলেজের বিদ্যমান আসন সংখ্যা দেখে নেওয়া জরুরি । পছন্দক্রম অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সাজাতে হবে, কারণ মেধা ও আসন সংখ্যার ভিত্তিতে এই পছন্দক্রম অনুযায়ী কলেজ বরাদ্দ হবে । শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। এই পছন্দক্রমের সুযোগ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীরা যদি তাদের মেধা স্কোর অনুযায়ী বাস্তবসম্মত পছন্দক্রম না দেয়, তবে তারা কাঙ্ক্ষিত কলেজে সুযোগ নাও পেতে পারে। “মেধা, পছন্দক্রম এবং আসন প্রাপ্যতা” এই তিনটি বিষয়ই ভর্তির মূল নির্ণায়ক। শিক্ষার্থীদের কেবল জনপ্রিয় কলেজ নয়, বরং তাদের মেধা অনুযায়ী সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন কলেজগুলোকেও পছন্দক্রমে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।  

প্রতিটি নির্বাচিত কলেজের জন্য কাঙ্ক্ষিত গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা), শিফট (দিবা, প্রভাতি) এবং ভার্সন (বাংলা, ইংরেজি) নির্বাচন করতে হবে ।  

আবেদন ফি পরিশোধের বিস্তারিত নিয়মাবলীর ক্ষেত্রে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য খসড়া নীতিমালায় অনলাইন আবেদন ফি ২২০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে । গত শিক্ষাবর্ষে এই ফি ছিল ১৫০ টাকা । এই ফি নন-রিফান্ডেবল। এই ফি বৃদ্ধি সরাসরি শিক্ষার্থীদের উপর আর্থিক বোঝা বাড়াবে। যদিও এটি খুব বড় অঙ্ক নয়, তবে এর একটি প্রতীকী গুরুত্ব আছে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য। এই বৃদ্ধি প্রশাসনিক খরচ বৃদ্ধি বা সিস্টেমের উন্নয়নের জন্য হতে পারে। ফি পরিশোধের পদ্ধতি হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং (যেমন: বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়), সোনালী সেবা বা সমর্থিত ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে ।  

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের একটি প্রতীকী স্ক্রিনশট
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের একটি প্রতীকী স্ক্রিনশট

📚 আরও পড়ুন:

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ ও সময়সূচি: এক নজরে

শিক্ষাবর্ষ ২০২৫-২০২৬ এর জন্য সম্ভাব্য সময়সূচি (খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী) নিচে উল্লেখ করা হলো। এই তারিখগুলো খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী প্রস্তাবিত। চূড়ান্ত নীতিমালায় তারিখের পরিবর্তন হতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইট এবং শিক্ষা বোর্ডের নোটিশ বোর্ড অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিটি ধাপের জন্য নির্দিষ্ট ও তুলনামূলকভাবে কম সময় বরাদ্দ করা হয়েছে (যেমন, দ্বিতীয় ধাপের আবেদন মাত্র ৩ দিন)। এই কঠোর সময়সূচী প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও সুশৃঙ্খল রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু একই সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য ত্রুটি করার সুযোগ কমিয়ে দেয়। সময়সীমা মেনে চলার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই, শিক্ষার্থীদের ক্যালেন্ডারে এই তারিখগুলো চিহ্নিত করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমা একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে । এই প্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে, যদিও একটি খসড়া সময়সূচি আছে, তবে প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে এবং অতীতে বাড়িয়েছেও। এর মানে এই নয় যে ২০২৫ সালেও বাড়ানো হবে, তবে এটি একটি নমনীয়তার ইঙ্গিত। শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা যেতে পারে যে অপ্রত্যাশিত সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে পারে, তবে মূল নির্দেশনা হলো নির্ধারিত সময়সীমা কঠোরভাবে মেনে চলা এবং শেষ মুহূর্তের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকা।  

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ২০২৫: গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি (প্রকাশিত)

ক্রমিক নংবিষয়তারিখসময় (যদি প্রযোজ্য হয়)
প্রথম ধাপের আবেদন গ্রহণ৩০ জুলাই, ২০২৫ – ১১ আগস্ট, ২০২৫রাত ১০:০০ টা পর্যন্ত
প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ২০ আগস্ট, ২০২৫রাত ৮:০০ টায়
প্রথম ধাপের নিশ্চায়ন২২ আগস্ট, ২০২৫ – ২৫ আগস্ট, ২০২৫রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত
দ্বিতীয় ধাপের আবেদন গ্রহণ২৩ আগস্ট, ২০২৫ – ২৮ আগস্ট, ২০২৫রাত ১০:০০ টা পর্যন্ত
দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ২৮ আগস্ট, ২০২৫রাত ৮:০০ টায়
দ্বিতীয় ধাপের নিশ্চায়ন২৯ আগস্ট, ২০২৫ – ৩০ আগস্ট, ২০২৫রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত
তৃতীয় ধাপের আবেদন গ্রহণ৩১ আগস্ট, ২০২৫রাত ১০:০০ টা পর্যন্ত
তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫রাত ৮:০০ টায়
সর্বশেষ মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১০চূড়ান্ত ভর্তি৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ – ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১১একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস শুরু১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আবেদন ও ভর্তি সংক্রান্ত ফি

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য খসড়া নীতিমালায় অনলাইন আবেদন ফি ২২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে । গত শিক্ষাবর্ষে এই ফি ছিল ১৫০ টাকা । এই ফি নন-রিফান্ডেবল।  

মেধা তালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের BDT 335 টাকা নিশ্চায়ন ফি পরিশোধ করতে হবে । এই ফি মোবাইল ব্যাংকিং, সোনালী সেবা বা সমর্থিত কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। নিশ্চায়ন ফি পরিশোধ না করলে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।  

কলেজ ভর্তি ফি’র ক্ষেত্রে, যদিও ২০২৫ এর চূড়ান্ত নীতিমালা এখনো প্রকাশিত হয়নি, তবে পূর্ববর্তী “নীতিমালা-২০২৪” (যা ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য) অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকার জন্য কলেজ ভর্তি ফি নির্ধারিত ছিল। খসড়া নীতিমালায়ও এই ফি কাঠামো বহাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে । ঢাকা মহানগরীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা ফি নির্ধারিত ছিল । ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা, জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ২,০০০ টাকা এবং উপজেলা বা মফস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা ফি প্রযোজ্য ছিল ।  

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ফি কাঠামোতে কিছু ভিন্ন তথ্য দেখা যায়। একটি উৎসে ঢাকা মহানগরীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা ফি উল্লেখ থাকলেও , অন্য একটি উৎসে ঢাকা/রাজধানী/ঢাকা মেট্রোপলিটন কলেজের জন্য সর্বোচ্চ ৭৫০০ টাকা (বাংলা) এবং ৮৫০০ টাকা (ইংরেজি) ফি উল্লেখ আছে । এই অসঙ্গতি নির্দেশ করে যে, ফি কাঠামোতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান (যেমন: এমপিওভুক্ত বনাম নন-এমপিওভুক্ত) এবং তাদের অবস্থান (যেমন: রাজধানী বনাম অন্যান্য মেট্রোপলিটন) অনুযায়ী পার্থক্য থাকতে পারে। চূড়ান্ত নীতিমালায় এই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকবে। শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের কলেজের নির্দিষ্ট ফি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চূড়ান্ত নীতিমালার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।  

আবেদন ফি, নিশ্চায়ন ফি এবং কলেজ ভর্তি ফি – এই তিনটি ধাপের সম্মিলিত খরচ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আর্থিক বোঝা তৈরি করে। যদিও প্রতিটি ফি আলাদাভাবে ছোট মনে হতে পারে, কিন্তু একত্রিত করলে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষার্থীকে আবেদন, নিশ্চায়ন এবং ঢাকা মহানগরীর এমপিওভুক্ত কলেজে ভর্তির জন্য প্রায় (২২০+৩৩৫+৫০০০) = ৫৫৫৫ টাকা খরচ করতে হতে পারে। এই মোট আর্থিক ব্যয়ের একটি ধারণা থাকা অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন।

বিভিন্ন এলাকার জন্য কলেজ ভর্তি ফি (সম্ভাব্য)

এলাকাশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরনসর্বোচ্চ ভর্তি ফি (টাকায়)
ঢাকা মহানগরীএমপিওভুক্ত (বাংলা/ইংরেজি ভার্সন)৫,০০০
ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগরী৩,০০০
জেলা পর্যায়২,০০০
উপজেলা/মফস্বল এলাকা১,০০০
ঢাকা মেট্রোপলিটন(বাংলা)৭,৫০০ (সম্ভাব্য)
ঢাকা মেট্রোপলিটন(ইংরেজি)৮,৫০০ (সম্ভাব্য)

Export to Sheets

ফলাফল প্রকাশ ও নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং মেধা তালিকা প্রকাশ করে কলেজগুলোতে আসন বরাদ্দ করবে । ফলাফল মোট তিনটি ধাপে প্রকাশ করা হবে । প্রতিটি ধাপের ফলাফল নির্দিষ্ট তারিখে  

xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মেধাভিত্তিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল, নির্বাচিত কলেজ এবং আসন প্রাপ্যতা ভর্তির মূল নির্ণায়ক । শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত জিপিএ এবং পছন্দক্রমের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি হয়।  

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তাদের আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএস নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো হবে । এছাড়াও,  

xiclassadmission.gov.bd পোর্টালে লগইন করে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তির অবস্থা এবং কোন কলেজে নির্বাচিত হয়েছে তা জানতে পারবে ।  

তিন ধাপে ফলাফল প্রকাশ একটি কার্যকর পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক সুযোগ তৈরি করে এবং একই সাথে কলেজগুলোর আসন পূরণে সহায়তা করে। এটি নিশ্চিত করে যে কোনো শিক্ষার্থী যেন প্রথম ধাপে নির্বাচিত না হলেও হতাশ না হয় এবং দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই পদ্ধতিটি শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি নমনীয়তা প্রদর্শন করে, যা উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ায়।

মেধা তালিকায় নির্বাচিত হলে, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পোর্টালে প্রদত্ত নিশ্চায়ন ফর্ম পূরণ করতে হবে । নিশ্চায়ন ফি BDT 335 টাকা পরিশোধ করতে হবে । এই ফি পরিশোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার নির্বাচিত কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা নিশ্চিত করে। সময়মতো নিশ্চায়ন না করলে শিক্ষার্থীর আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তাকে পরবর্তী ধাপগুলোতে নতুন করে আবেদন করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ। নিশ্চায়ন প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল নির্বাচিত কলেজে আসন নিশ্চিত করে না, বরং পুরো ভর্তি প্রক্রিয়াকে সুশৃঙ্খল রাখতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং নিশ্চায়নের সময়সীমা কোনোভাবেই অতিক্রম না করার জন্য জোর দেওয়া হয়। সময়সীমা মিস করলে পুনরায় আবেদন করতে হবে, যা অতিরিক্ত ফি এবং অনিশ্চয়তা নিয়ে আসে।  

xiclassadmission.gov.bd পোর্টালে লগইন করে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তির অবস্থা এবং কোন কলেজে নির্বাচিত হয়েছে তা জানতে পারবে ।  
xiclassadmission.gov.bd পোর্টালে লগইন করে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তির অবস্থা এবং কোন কলেজে নির্বাচিত হয়েছে তা জানতে পারবে ।  

মাইগ্রেশন: উচ্চতর পছন্দের সুযোগ

নিশ্চায়নের সময় শিক্ষার্থীরা অটো-মাইগ্রেশন অপশনটি চালু করতে পারবে । এই অপশনটি সক্রিয় করলে, যদি আপনার পছন্দক্রমের উপরের দিকের কোনো কলেজে আসন খালি হয়, তবে আপনার ভর্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই কলেজে স্থানান্তরিত হতে পারে। মাইগ্রেশন সবসময় উচ্চ পছন্দের কলেজের দিকে হয়, অর্থাৎ আপনি আপনার মূল পছন্দ তালিকায় যে কলেজগুলোকে উচ্চতর স্থানে রেখেছিলেন, সেগুলোতে আসন খালি হলে আপনার ভর্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত হতে পারে । নিম্ন পছন্দের কলেজে মাইগ্রেশন হয় না।

প্রতিটি মেধা তালিকা প্রকাশের পর দুটি মাইগ্রেশন সুযোগ থাকবে । অর্থাৎ, প্রথম ধাপের ফলাফল প্রকাশের পর একটি মাইগ্রেশন এবং দ্বিতীয় ধাপের ফলাফল প্রকাশের পর আরেকটি মাইগ্রেশন হতে পারে। যদি উচ্চ পছন্দের কোনো কলেজে আসন খালি হয়, তবে আপনার ভর্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যাবে এবং আপনাকে এসএমএস করে জানানো হবে ।

অটো-মাইগ্রেশন ফিচারটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুবিধা। এটি তাদের প্রথম পছন্দের কলেজে সুযোগ না পেলেও, পরবর্তী ধাপগুলোতে উচ্চ পছন্দের কলেজে স্থানান্তরিত হওয়ার একটি সুযোগ করে দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের চাপ কমায় এবং সিস্টেমের দক্ষতা বাড়ায়, কারণ এটি ম্যানুয়াল পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে। শিক্ষার্থীদের এই অপশনটি সক্রিয় করার জন্য উৎসাহিত করা হয়, যদি তারা তাদের বর্তমান নির্বাচিত কলেজ থেকে আরও ভালো কলেজে যেতে আগ্রহী হয় এবং তাদের পছন্দক্রম সঠিকভাবে সাজানো থাকে। মাইগ্রেশন ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মাইগ্রেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কলেজ পরিবর্তন হতে পারে। এটি নিশ্চিত করে যে তারা সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকে এবং নতুন কলেজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারে। মাইগ্রেশন সফল হলে নতুন কলেজে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

সফল ভর্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

আবেদন ফরম পূরণের সময় সকল তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি। কোনো ভুল তথ্য যেমন রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড বা পাসের সাল আবেদন বাতিলের কারণ হতে পারে। আবেদন, ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন এবং চূড়ান্ত ভর্তির সকল সময়সীমা কঠোরভাবে মেনে চলা প্রয়োজন। সময়সীমা অতিক্রম করলে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

ভর্তির সকল তথ্যের জন্য xiclassadmission.gov.bd এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (shed.gov.bd, moedu.portal.gov.bd) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলোতে নিয়মিত চোখ রাখা উচিত । গুজব বা অননুমোদিত তথ্যে বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খসড়া তথ্য চূড়ান্ত নাও হতে পারে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য খসড়া নীতিমালা বা সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে ধারণা দিলেও, চূড়ান্ত তথ্যের জন্য সবসময় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসরণ করা অপরিহার্য। খসড়া এবং চূড়ান্ত নীতিমালার মধ্যে ছোটখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য থাকতে পারে। তাই, শিক্ষার্থীদের এই পার্থক্য সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং তাদের অফিসিয়াল উৎসের উপর নির্ভর করতে উৎসাহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভুল তথ্য থেকে সৃষ্ট বিভ্রান্তি ও সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।  

কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড বা xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রদত্ত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা উচিত। সঠিক তথ্যের জন্য সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।

যেহেতু পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইন-ভিত্তিক, শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং অনলাইন পেমেন্টের পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। অনলাইন আবেদন, ফলাফল দেখা, এবং নিশ্চায়ন করার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের কাছে একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রাথমিক জ্ঞান আছে। প্রয়োজনে তারা সাইবার ক্যাফে বা পরিচিত কারো সহায়তা নিতে পারে। এই ডিজিটাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তবসম্মত পরামর্শ।

🔔 আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন

ভর্তি বিষয়ক প্রতিদিনের আপডেট পেতে আমাদের Google News এবং ফেসবুক পেজে ফলো করে রাখুন:

📌 Google News-এ ফলো করুন
📌 Facebook Page

উপসংহার

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অনলাইন আবেদন পদ্ধতি প্রক্রিয়াটিকে সহজ, স্বচ্ছ এবং মেধাভিত্তিক করেছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সকল তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করে, সময়সীমা কঠোরভাবে মেনে চলে এবং নিয়মিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলো পর্যবেক্ষণ করে। সঠিক প্রস্তুতি এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রতিটি শিক্ষার্থী তার কাঙ্ক্ষিত কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে এবং তাদের নতুন শিক্ষাজীবন সফলভাবে শুরু করতে পারবে।


আপনি চাইলে আমাদের মাধ্যমে আবেদনটি সম্পন্ন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবেদন ফি ও সার্ভিস ফি বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো সময় আমাদের কাছ থেকে ভর্তি ও যে কোন চাকরির আবেদন সংক্রান্ত সকল প্রকার সমস্যার সমাধান ফ্রি তে পাবেন। যোগাযোগঃ 01739866222 অথবা হোয়াট্স ‍আ্যপ করুনঃ >>>> WhatsApp <<<<

Leave a Comment